
অনলাইন ডেস্ক:
সরকার দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনাকে পুরোপুরি ডিজিটাল ও স্বয়ংক্রিয় করছেন। এখন থেকে সাধারণ নাগরিকরা ঘরে বসেই ভূমি সংক্রান্ত ১৭টি সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। একই সঙ্গে জমির মালিকানা প্রমাণের জন্য বহু দলিলের প্রয়োজনও থাকছে না—এখন থেকে শুধু ‘ভূমি মালিকানা সনদ’ থাকলেই যথেষ্ট।
ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই প্রকল্পের আওতায় যে সেবাগুলো ডিজিটাল হবে, তার মধ্যে রয়েছে ই-মিউটেশন, রিভিউ ও আপিল মামলা ব্যবস্থাপনা, অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর, রেন্ট সার্টিফিকেট মামলা, মিউটেটেড খতিয়ান, ডিজিটাল ল্যান্ড রেকর্ড, মৌজা ম্যাপ ডেলিভারি, মিস মামলা ব্যবস্থাপনা, খাসজমি ব্যবস্থাপনা, দেওয়ানি মামলা তথ্য, হাট-বাজার ও জলমহাল ব্যবস্থাপনা, বালু ও চা-বাগান ব্যবস্থাপনা, ভিপি সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা, ভূমি অধিগ্রহণ, অভ্যন্তরীণ বাজেট ব্যবস্থাপনা।
এই সব সেবা ‘ল্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস ফ্রেমওয়ার্ক’ সফটওয়্যারের মাধ্যমে একটি সমন্বিত, আন্তঃপরিচালনাযোগ্য ডাটাবেজে সংযুক্ত করা হবে। এতে অন্যান্য সরকারি সেবার সঙ্গে সহজ সমন্বয় সম্ভব হবে।
সরকারের পরিকল্পনায় রয়েছে ভূমি স্মার্ট কার্ড চালু করা। এই কার্ডে জমির প্রকৃত মালিকের তথ্য থাকবে এবং এটি থাকলে আর জমির মালিকানা প্রমাণে প্রচলিত কাগজপত্রের দরকার হবে না। ‘ভূমি মালিকানা ও ব্যবহার আইন, ২০২৩’-এর ধারা অনুযায়ী এই উদ্যোগের বিধান রাখা হয়েছিল।
ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত ক্রয় পরিকল্পনায় ৯১৫ কোটি ৯০ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন করা হয়েছে। দেশের ৫,২৪৭টি ভূমি অফিসে সফটওয়্যার ও প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার সরবরাহ করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট জনবলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে দেশের ভূমি সেবায় এক নতুন যুগের সূচনা হবে, যেখানে নাগরিকরা দ্রুত, স্বচ্ছ ও সহজভাবে জমির সকল সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।