মাসুম পাঠান:
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী-টু-মঠখোলা সড়কে কটিয়াদী থেকে বেতাল বাজার পর্যন্ত অংশটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পুরো সড়কবজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খানাখন্দ। বৃষ্টি হলেই এসব গর্তে পানি জমে রাস্তাটি আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
জন গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার লোকজন গাজীপুর ও ঢাকায় যাতায়াতের জন্য প্রতিদিন হাজারো মানুষ, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে প্রায়ই যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে এবং যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। ব্যবসায়ী, কৃষক ও রোগীবাহী যানবাহনের চলাচল ব্যাহত হওয়ায় স্থানীয়দের দুর্ভোগ আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ সড়কে প্রায় সময়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কটিয়াদী থেকে ঢাকা পর্যন্ত সরাসরি সংযোগ সড়ক হওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। প্রতিদিন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার অসংখ্য শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী বাসগুলোসহ অন্যান্য যাত্রীবাহী বাস—যেমন অনন্যা সুপার, যাতায়াত, জলসিঁড়ি, উজানভাটি বাস নিয়মিত এই রাস্তা ব্যবহার করে।
এছাড়াও প্রতিদিন মালবাহী ট্রাক, লরি, সিএনজি ও অটোরিকশাসহ ছোট বড় যানবাহন চলে থাকে। জনবহুল রাস্তা জুড়েই পিচ উঠে গিয়ে অধিকাংশ স্থানে ছোট-বড় গর্তে ভরে গেছে। সড়কের বেহাল অবস্থা যাত্রী ও যানবাহনের জন্য দৈনন্দিন দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্কুলশিক্ষার্থী মাহি আক্তার জানান, প্রতিদিন স্কুলে যাতায়াত করা খুবই কষ্টকর। বৃষ্টি হলে রাস্তায় পানি জমে হাঁটা-চলা কঠিন হয়ে পড়ে। তিনি রাস্তা সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন।
মসূয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম জহির জানান, এটি অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা। কটিয়াদী থেকে বেতাল বাজার পর্যন্ত সড়কের বড় বড় গর্ত এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই ওই সড়কে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। দ্রুত সড়ক সংস্কারের কাজ বাস্তবায়ন করে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, সড়কটি স্থায়ীভাবে মেরামতের জন্য মন্ত্রনালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিভাগের পক্ষ থেকে কটিয়াদী থেকে বেতাল বাজার পর্যন্ত সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন দরপত্র মূল্যায়নের প্রক্রিয়া চলছে। অনুমোদন মিললেই খুব শিগগিরই কাজ শুরু করা হবে।